আলজেরিয়ায় সাম্প্রতিক তাপদাহ ও খরায় সৃষ্ট দাবানলে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুইশতাধিক। বৃহস্পতিবার দেশটির দমকলকর্মীরা আক্রান্ত অঞ্চলে ভয়াবহ তাপ সহ্য করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
তীব্র দাবানল বর্তমানে উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতি বছরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বিশাল বিশাল অঞ্চল মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
আলজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে তিউনিসিয়ার সীমান্তে এল তারফ অঞ্চলে গত কয়েকদিন যাবত তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একাধিক সূত্র, স্থানীয় সংবাদকর্মী ও দমকল বাহিনীর তথ্যমতে বেশিরভাগ লোক এই অঞ্চলে নিহত হয়।
এল তারফের এক স্থানীয় সাংবাদিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, একটি জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণকালে বেশিরভাগ মানুষ হতাহত হয়। স্থানীয় মিডিয়া জানায়, প্রায় ১ লাখ বাসিন্দার একটি শহরের খুব কাছে ৮ জন একটি বাসে পুড়ে মারা যায়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী আক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় বহু লোককে তাদের বাসস্থান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দমকলকর্মীদের বিমান সংকটে এই বিপর্যয় আরও বড় রূপ ধারণ করে।
বর্তমানে দেশটিতে আকাশযানের অভাবে সমালোচনার শিকার হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে গত বছর অন্তত ৯০ জন লোক নিহতের পরও কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। রুশ একটি আকাশযান বিকল হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আকাশযান বাড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
এদিকে এএফপিকে নাম না প্রকাশের শর্তে একজন বলেন, দেশটিতে আশির দশকে প্রায় ২২টি দাবানল ঠেকানো আকাশযান খুবই সস্তায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।
এ বছরের আগস্টের শুরু থেকে ১০৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আলজেরিয়ায় প্রায় ৮০০ হেক্টর বনাঞ্চল ও ১হাজার ৮০০ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হয়।