মালিকানা অর্জন করার পরপরই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জমির নামজারি করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
‘সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থার জমি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারিকরণ’ বিষয়ের চিঠিতে বলা হয়, ভূমির মালিকানা অর্জন করার পরপরই ভূমি মালিক/প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখনো অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থার জমি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি করা হয়নি মর্মে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে সরকারের প্রাপ্য ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আইনগত জটিলতার উদ্ভব হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর অধীনে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে তাদের মালিকানাধীন (ক্রয়/অধিগ্রহণ/দান ইত্যাদি সূত্রে) সকল জমির নিজ প্রতিষ্ঠান/সংস্থার নামে অনতিবিলম্বে নামজারি করে অনলাইন হোল্ডিং তৈরিসহ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কারণ জমির দাম দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমির নামজারি না করার সুযোগ নিচ্ছেন একশ্রেণির অসাধু মানুষ।
নামজারি বা মিউটেশন হচ্ছে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মালিকানা পরিবর্তন করা। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো বৈধ পন্থায় জমির মালিকানা অর্জন করলে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড হালনাগাদ করাকেই নামজারি বলা হয়। নামজারি সম্পন্ন হলে একটি খতিয়ান দেওয়া হয় যেখানে অর্জিত জমির সংক্ষিপ্ত হিসাববিবরণী উল্লেখ থাকে।
এ হিসাববিবরণী অর্থাৎ খতিয়ানে মালিকের নাম, কোন মৌজা, মৌজার নম্বর (জেএল নম্বর), জমির দাগ নম্বর, দাগে জমির পরিমাণ, একাধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত হিস্যা ও প্রতিবছরের ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।