বেসামরিক বিমান পরিবহন ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যেই গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। কেননা সেদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নয়টি কমিটির ৯৯.৯% নেতা। আল্লাহর অশেষ রহমত, যে গ্রেনডটি মঞ্চকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল সেই গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়নি, সেটি বিস্ফোরিত হলে শেখ হাসিনার জীবনপ্রদীপ তখনই নিবে যেত। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সকলের জীবন নির্বাপিত হতো, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বলে কিছু থাকতো না।
রোববার বিকেলে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল গণজমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গণজমায়েতে ২১আগস্ট হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে যেভাবে দেশকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, আওয়ামী লীগ মুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবে একই পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। ঢাকা শহরে এমন কোন হাসপাতাল ছিল না যেখানে সেদিন কান্নার রোল পরে নাই।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দুষ্কৃতিকারী যারা, সমাজে যারা অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়, যারা কথায় কথায় আমাদেরকে শিক্ষা দিতে চায়, তাদের কোনো অপচেষ্টাকেই আমরা বিনা বাধায় ছেড়ে দেব না। তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও ঘৃণ্য কারসাজিকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাগ্রত জনতা প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনি ও আপনার গুরু তারেক রহমান যত আস্ফালন দেখান না কেন, ঐ আস্ফালন আস্ফালনই থাকবে, তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না।