বিপিসি’র অনিয়ম ও অডিট আপত্তি নিয়ে স্তম্ভিত সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিভিন্ন অনিয়ম ও অডিট আপত্তি নিয়ে স্তম্ভিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় এই কমিটির বৈঠকে বিপিসির বিভিন্ন ক্রয় এবং অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বিপিসির অনিয়মের বিষয় উঠে আসে।

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, বিপিসিতে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা খুবই কম। অনিয়মের যা চিত্র তাতে আমরা শকড। কেনাকাটায় অনিয়ম আছে। অডিট আপত্তিও আছে। এসব আপত্তি ঠিকমত নিষ্পত্তি করা হয়নি। যাদের নাম ধরে অডিট নিষ্পত্তি করা হয়েছিল, সেগুলো তারা করেনি। দুদকেরও কিছু কথা তারা শোনেনি।

কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরের বিশেষ অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পরেও বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত করেনি বিপিসি। যা আর্থিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

অডিট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সংরক্ষণ সক্ষমতার বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করায় জাহাজ ফ্লোটিংয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। একই অর্থবছরে ব্যাংকে জমাকৃত টাকা ব্যয় না করে জমার অতিরিক্ত ঋণ (ওভার ড্রাফট) নিয়ে ব্যয় করায় ২৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

একই অর্থবছরে সিএজি অফিস এক অডিটে জানায়, তদারকির অভাবে বিপিসির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

তবে অনিয়ম প্রসঙ্গে বিপিসি জানায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে বিপিসিতে প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।

শেয়ার করুন