ফেনীর সোনাগাজীতে মারামারির মামলায় ছেরাজুল হকের (৫০) ছয় মাসের সাজা হয়েছিল। সেই সাজা থেকে বাঁচতে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর পালিয়ে ছিলেন। তবে অবশেষে ছেরাজুল হক পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার ছাড়াইতকান্দি এলাকা থেকে ছেরাজুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছেরাজুল হক উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি এলাকার বাসিন্দা ও আবদুল মালেকের ছেলে।
সোনাগাজী থানা-পুলিশ জানায়, ২০০৮ সালে মারামারির একটি মামলায় পুলিশ ছেরাজুল হককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে ছেরাজুল হক গা ঢাকা দেন। পরে আর তিনি আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৪ সালের মার্চে আদালত ছেরাজুল হককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
পুলিশ জানায়, ছেরাজুল হক প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। একটি মুঠোফোন নম্বর বেশি দিন ব্যবহার করতেন না। মাঝেমধ্যে গোপনে রাতে বাড়ি আসতেন। আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যেতেন। পরে পুলিশ গোপন সূত্রে বিষয়টি জানাতে পারে। কয়েক দিন ধরে ছেরাজুল হককে ধরতে পুলিশ গভীর রাতে তার গ্রামের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে পুলিশ ছেরাজুলের মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন।
সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মতিন বলেন, ছেরাজুল হক বৃহস্পতিবার রাতে গোপনে বাড়িতে আসেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ও পুলিশের সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে ছাড়াইতকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার কার হয়।