চলতি বছর ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হলো।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৮৪ জন। এর মধ্যে ২২৪ জনই ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ভর্তি রোগী ৮৫০ জন। যার মধ্যে ঢাকাতেই ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭১১ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৩৯৭ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা যায়, ডেঙ্গুতে এ বছর সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে আগস্ট মাসে। সেখানে সেপ্টেম্বরের ৬ দিনেই মারা গেছেন ১০ জন।
এ বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। আর চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ১৬ জন, তাদের ১৫ জনই কক্সবাজারের। এ ছাড়া বরিশালে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরে আসে এডিস মশার মাধ্যমে। বর্ষায় বাসাবাড়িতে পানি জমে এই মশার বংশবিস্তার বেশি ঘটে। ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দেয়। মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরের বছরগুলোতে এর প্রকোপ খুব বেশি না হলেও ২০১৯ সালে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছর দেশে ডেঙ্গুতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং লক্ষাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়।
এ বছর ঢাকায় প্রাক্–বর্ষা জরিপে গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার প্রকোপ বেশি দেখা গিয়েছিল। তা থেকে জনস্বাস্থ্যবিদেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে।