রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যৌবনকাল। মানবসম্পদের শ্রেষ্ঠ অংশ যুবসমাজ। বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রাম ও অগ্রগতির পথে এ দেশের যুবসমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ প্রদান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণদের মানবহিতৈষী ও স্বেছাসেবী কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন হতে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুবকরা যেমন জীবন উৎসর্গ করতে কার্পণ্য করেনি, তেমনি দেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে যুবসমাজকে অগ্রসৈনিক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে যুবসমাজের জন্য অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
আবদুল হামিদ বলেন, যুবকদের কর্মবিমুখতা, কুসংস্কার, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রেখে দক্ষ, আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমতসহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতাসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, দেশ গড়ার হাতিয়ার যুবদের শাণিত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন যুব সহায়ক কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যুবদের জন্য গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, আত্মকর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা তৈরি ও যুব সংগঠন নিবন্ধন বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। যুব সম্প্রদায়কে এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নপূরণে দেশপ্রেম, কর্মে একাগ্রতা, সাহস ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সামাজিক ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অনন্য নজির স্থাপনের স্বীকৃতিস্বরূপ যারা এ বছর ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হতে যাচ্ছে, আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। তাদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অপরাপর যুবরা সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবে বলে আমি আশা করি। আমি ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ প্রদান অনু্ষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।