প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। এ কৃতিত্বের অংশীদার এ দেশের যুবসমাজ। প্রতিদিন তাদের নানা রকম উদ্ভাবন, দেশের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা, এসব কিছু মিলিয়েই বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের পথে হাঁটছে।
তিনি বলেন, পাঁচ কোটি ৩০ লাখ তরুণের দেশ বাংলাদেশ। এ তারুণ্য ও তাদের উদ্যম-চেতনা আমাদের বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের শক্তি যুগিয়েছে। আমি চাইবো- প্রতিটি তরুণ-যুবকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হোক একটাই, এগিয়ে যেতে হবে দেশের জন্য, মানুষের সেবায় ও জাতির কল্যাণে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার সাত হাজার ৯১৪টি যুব সংগঠনকে ১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। সরকার জাতীয় যুব কাউন্সিল গঠন, যুব উদ্যোক্তা নীতি ও যুব প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যুব প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যুব কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় যুব পুরস্কার নীতিমালার আওতায় সারাদেশে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের যুবসমাজ, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব উদ্যমী তরুণকে এবং বিজয়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছো ও অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতার পর জাতীয় উন্নয়নে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে যুব কল্যাণমূলক বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তিনি ১০টি যুব হোস্টেল ও যুব কল্যাণকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে জাতির পিতা পদাঙ্ক অনুসরণ করে। ওই সময় যুবসমাজের উন্নয়ন, তরুণদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ও দেশের উন্নয়নে যুবসমাজকে সংযুক্ত করে তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে বর্তমান সরকার যুবকদের উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে, বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় আমরা দুই লাখ ৩৫ হাজার যুবককে অস্থায়ী কর্মসংস্থান করেছি। যুব কর্মসংস্থানের জন্য প্রায় পাঁচ লাখ প্রশিক্ষিত যুবককে এক হাজার ৩৯০ কোটি টাকা যুবঋণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল সমৃদ্ধ ইতিহাসের উত্তরাধিকার হিসেবে আমাদের যুবসমাজ ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।