ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩২ নেতার পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের ৩০২ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ২০০৩ সালের এসএসসি ব্যাচকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের পদায়ন করা হয়।
কিন্তু কমিটিতে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, ঘোষিত কমিটিতে ২০০৩ সালের আগে এসএসসি পাশ করা নেতারাও রয়েছেন। এছাড়া বিবাহিত, অছাত্র রয়েছেন। তারা ২৯ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতারা আপাতত তাদের পদ স্থগিত রেখে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগের বাইরেও আরো তিনজনের পদ স্থগিত রাখা হয়েছে। কি কারণে তাদের পদ স্থগিত রাখা হয়েছে তা নেতাকর্মীদের কেউ জানেন না।
যাদের পদ স্থগিত রাখা হয়েছে তারা হলেন, সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ইউনুচ আলী রাহুল, মো. সালাহউদ্দিন, আকন মামুন, খায়রুল আলম সবুজ, মারজুক আহমেদ, জুয়েল মৃধা, সালেহ মো. আদনান, আবুল কালাম আজাদ, সোহরাব হোসেন সুজন। সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাইনুল ইসলাম সোহান, কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজু, এস এম ফয়সাল, কামরুজ্জামান কামরুল, মীর ইমরান হোসেন মিথুন, বাছিরুল ইসলাম রানা, আজিজুল হক জিয়ন, আরিফুর রহমান আমিন, মিজানুর রহমান মিজান, ফেরদৌস হোসেন ফয়সাল, আল মামুন, আরিবা নিশীথ। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, এম এ রহিম শেখ, শহীদুল ইসলাম নয়ন, মামুন মজুমদার, নজরুল ইসলাম রাঢ়ী। সহ আইন সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ, সহ পাঠাগার সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিচ ও সহ অর্থ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন।
এ বিষয়ে সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, তার বিরুদ্ধে পদ বঞ্চিতরা লিখিত অভিযোগও দেননি। মূলত, ছাত্রদলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করার জন্য কেউ এটা করছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে- তার শিক্ষাগত সার্টিফিকেট অনলাইনে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ২০০৩ সালের সার্টিফিকেটতো অনলাইনে কারোরটাই পাওয়া যাবে না। তার সব সার্টিফিকেটের মূল কপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সমর্পণ করবেন বলেও জানান তিনি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ছাত্রদল হচ্ছে একটি পরিচ্ছন্ন ছাত্র সংগঠন। এখানে নেতা হওয়ার যোগ্যতার জন্য যেসব বিধি রয়েছে সেসব অনুসরণ করেই কমিটি দেয়া হয়েছে। এরপরও অভিযোগ আসায় তদন্ত করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, সংগঠনের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আগে তারা অভিযোগ বাক্স খুলেছেন। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা জমা দিতে বলেছেন। যাদের বিরুদ্ধে তখন অভিযোগ পাইনি তাদের দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখন আবার যেহেতু অভিযোগ দেয়া হয়েছে সেহেতু স্বচ্ছতার জন্য আবার তদন্ত করা হবে।