রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ এবং সাভারের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে মামলা আমলে নিয়েছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৬ অক্টোবর মামলার তিন নম্বর স্বাক্ষী এবং সাত নম্বর স্বাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সারোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত। আগামী ৬ অক্টোবর ওই ভুক্তভোগী নারীর ছেলে মামলার তিন নম্বর স্বাক্ষী আর সাত নম্বর স্বাক্ষী ভুক্তভোগীর মার জবানবন্দি নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার এক ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডেমরার বাসিন্দা তানীম রেজা বাপ্পী, সাহিদা তানীম, যাত্রাবাড়ীর নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলের মালিক জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামাল, পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন।
বাদী মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, তিনি গত ১ মার্চ ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু হাতিরঝিল থানা মাত্র চারজনকে আসামি করে।
মামলায় বলা হয়, গত ২৮ জুলাই বিকালে আসামি বাদিনীর বাসায় এসে আগের মতো তার সন্তানকে জিম্মি করে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। তারা দক্ষিণ গোরান ছাপড়া মসজিদ এলাকায় নগর উন্নয়ন সমাজ সেবা সংস্থায় (সালেহা মেডিকেল সেন্টার) নিয়ে সেখানে চিকিৎসার নামে বাদীর শরীর অবশ করে। তার পেটের সন্তানকে হত্যা করে ফেলে। পরে বাসায় পৌঁছে দেয়। তাকে পতিতা ব্যবসায় নিয়োজিত করে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার হুমকি দেয়।