সীমান্তের অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে দফায় দফায় গোলা এসে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তবে কাজ না হলে জাতিসংঘকে জানানো হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আহসানিয়া মিশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে মিয়ানমারকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা আসা বন্ধে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাদের দেশের কনফ্লিক্ট, গুলি তাদের সীমানায় থাকা উচিত। শান্তিপূর্ণ পথে কাজ না হলে জাতিসংঘে বিষয়টি তুলে ধরা হবে। মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চায়।
মন্ত্রী বলেন, বিজিপি (মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ) বাহিনীর সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার ভবিষ্যতে সংযত থাকবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াবে না। এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি বলে জানান মন্ত্রী।
গত ১৩ আগস্ট থেকে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) যুদ্ধ চলছে। স্বাধীনতাকামীদের দমাতে মিয়ানমার বাহিনী ছোড়া গোলা ও গুলি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ছে প্রায়ই।
সবশেষ শুক্রবার রাতে রাখাইন রাজ্যের পাহাড় থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল এসে তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় পড়লে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়। এতে এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন।