রাখাইন রাজ্যে সংঘাত: বাংলাদেশ সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ সংশ্লিষ্টদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা ক্যাম্প
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শুরুতেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল এবং প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন মিয়ানমার বলেছিল, মর্টার শেলটি ভুলক্রমে বাংলাদেশের সীমানায় গিয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে তারা সতর্ক থাকবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আবারও একই ঘটনা ঘটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকলের আলোকে খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনা মিয়ানমারের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ফলে ভুলক্রমে ঘটেছে নাকি উসকানিমূলক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজের অস্তিত্বের মতো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।

অন্যদিকে রাখাইন রাজ্যে দুই পক্ষের সংঘাতের রেশ যাতে কোনোভাবে বাংলাদেশে না আসে, সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাড়তি জনবল নিয়োগ করতে হলে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর খুরশেদ আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফিরে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান।

রাখাইন রাজ্যে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দুই মাস ধরে তুমুল লড়াই চলছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ের জেরে গত শুক্রবার মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া মর্টারের গোলায় এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত ও কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আজ আমরা বাংলাদেশের সব সংস্থাকে নিয়ে একটি সভা করেছি। আলোচনায় এটা উঠে এসেছে যে সেখানে যা ঘটছে, সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমরা বলেছি, এর রেশ যাতে আমাদের ওপর না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে সীমান্তে সজাগ থাকতে বলেছি। বাড়তি জনবলের প্রয়োজন হলে তারা সেটা মোতায়েন করবে। এরপরও সাগর দিয়ে বা অন্য পথে নতুন করে রোহিঙ্গারা যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছি।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব আরও জানান, আগেরবার মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আসার সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু লোকজনের যোগসাজশ ছিল। এবার যাতে সেটা না হয়, সে জন্য সব সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন