পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইরান। এ ঘটনায় রাজধানী তেহরানসহ ইরানের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষোভে ৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কিছুসংখ্যক বিক্ষোভকারীকে।
হিজাব ঠিকমতো না পরায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শুক্রবার আমিনির মৃত্যুর কথা কর্তৃপক্ষ ঘোষণার পর থেকে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। খবর আল-জাজিরার।
সোমবার তৃতীয় দিনের বিক্ষোভেও যোগ দেয় দেশটির হাজার হাজার মানুষ। তারা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ জানায়। নারীদের কেউ কেউ মাথা থেকে হিজাব খুলে প্রতিবাদ জানান। কুর্দিশ এক মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে, সোমবার ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ইরানের কুর্দিস অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দমাতে তেহরান ও কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইন্টারনেট সেবা দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখা হয়। তেহরানে বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় দাঙ্গা পুলিশ নামানো হয়। তেহরানের পুলিশপ্রধান বলেছেন, আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক।
বার্তা সংস্থা ফারস ও তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ তেহরানে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশাদেও বিক্ষোভ হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শত শত মানুষ স্লোগান দেয় এবং কয়েকজন প্রতিবাদস্বরূপ তাদের হিজাব খুলে ফেলে। পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।