রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমাদের পারমাণবিক হামলার হুমকি দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, লাখো সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিলেও ইউক্রেনে যুদ্ধে জিততে পারবে না রাশিয়া। রুশ নেতার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি বিপজ্জনক ও বেপরোয়া বাগাড়ম্বর। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার প্রথম সেনা সমাবেশের নির্দেশ ইউক্রেনে চলমান সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দেবে এবং প্রাণহানি বাড়বে। কিন্তু এই পদক্ষেপ প্রমাণ করছে ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ নিয়ে পুতিনের হিসাবে ভুল ছিল।
নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, পুতিনের এমন বেপরোয়া ও বিপজ্জনক পারমাণবিক বাগাড়ম্বরে জড়াবে না ৩০ দেশের জোট এবং শান্ত থাকবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভাষণ ইঙ্গিত দিচ্ছে তার পরিকল্পনা মতো যুদ্ধ এগোচ্ছে না। তিনি হিসাবে বড় ভুল করেছেন।
মহাসচিব বলেন, আরও সেনা মোতায়েন সংঘাতকে বৃদ্ধি করবে। এর অর্থ আরও দুর্ভোগ, আরও ইউক্রেনীয় প্রাণহানি, রাশিয়ারও প্রাণহানি।
জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, রাশিয়ার সেনাদের সরঞ্জাম দুর্বল ও কার্যকর কমান্ড না থাকলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধের অবসান হবে না। ইউক্রেনকে যত দিন সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়া স্বীকার না করার আগ পর্যন্ত সংঘাত চলবে।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ অবসানের একমাত্র উপায় হলো পুতিনকে প্রমাণ দেওয়া যে তিনি রণক্ষেত্রে জয়ী হতে পারবেন না। যখন তিনি এটি বুঝতে পারবেন তখন তিনি আলোচনায় বসবেন এবং ইউক্রেনের সঙ্গে যৌক্তিক সমঝোতায় আসবেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক ভাষণে ‘মাতৃভূমি রক্ষায়’ আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন পুতিন। একই সঙ্গে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়ে তিনি বলেছেন, রাশিয়া যদি মনে করে আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়েছে, তাহলে আমাদের কাছে থাকা সব পদ্ধতি ব্যবহার করবো। এটি শুধু কথার কথা না।
পুতিন আরও বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর হুমকির জবাব দেওয়ার মতো অনেক অস্ত্র রাশিয়ার রয়েছে। যারা আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছে তাদের জানা উচিত, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে। ব্ল্যাকমেইল অব্যাহত থাকলে মস্কো তার বিশাল অস্ত্রাগারের শক্তি নিয়ে জবাব দেবে।