মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম সাওন (২৬) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ২৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে ঢামেক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সাওনের বাবার নাম মো. ছোয়াব আলী ভূইয়া।
এদিকে, রাত পৌনে ১০টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকেও যুবদলকর্মী সাওনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আমানউল্লাহ আমান ও মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পথে রওনা করেছেন।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয় মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকা। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এসময় আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। বিএনপির অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহকালে আহত হন তিন সাংবাদিক।