তাইওয়ান ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে। তাইওয়ান চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা এ অঞ্চলে শান্তি চায়। খবর এএফপি ও রয়টার্সের। জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের বৈঠক চলাকালে পৃথক বৈঠকে বসেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর মধ্যে ৯০ মিনিটের দীর্ঘ আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে ‘বেশ খোলাখুলি’ আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনার মূল ফোকাস ছিল তাইওয়ান ইস্যু।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জোর দিয়েছিলেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ‘ভুল ও বিপজ্জনক’ সংকেত পাঠাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ওয়াং ই।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াং ই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। এ সময় ওয়াং ই বলেন, তাইওয়ান চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে নাক গলানোর অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। তিনি আরও বলেন, বেইজিং ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি মেনে চলবে। তবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা অর্জনের তৎপরতা যত বেশি হবে, এ সংকটের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার সম্ভাবনাও তত কমে আসবে।
মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে ব্লিঙ্কেন ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন না করার জন্য মার্কিন সতর্কতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, বেইজিং তার নামমাত্র মিত্র মস্কো থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ওয়াং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিউইয়র্কে সাক্ষাৎ করেন এবং গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে রাশিয়াকে সমর্থনের পরিবর্তে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।