ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করেছে সার্বিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি ‘পরামর্শের’ লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সার্বিয়ার এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের বিষয়ে বেলগ্রেডের মনোভাব এবং আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিচের সাম্প্রতিক একটি চুক্তিকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। বেলগ্রেড চুক্তি অনুযায়ী সার্বিয়ার ইইউতে যোগদান নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়েছে। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সভার ফাঁকে করা চুক্তিটিতে সার্বিয়াকে পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরামর্শ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মস্কো।
আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চাপের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া। এই অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার এ ধরনের চুক্তিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার সঙ্গে এমন চুক্তির ফলে ইইউ ব্লকে যোগদানের অন্যতম শর্ত ভঙ্গ করেছে সার্বিয়া—এমনটাই দাবি করেছে ব্লকটি।
তবে সার্বিয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, কারিগরি চুক্তির মাধ্যমে শুধু পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে, এখানে নিরাপত্তার কোনো বিষয় নেই। এই বিষয়ে সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই চুক্তিটি করা হয়েছে মূলত দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় কার্যক্রম এবং সেই বিষয়ে পরামর্শ লেনদেনকে সামনে রেখে। এখানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো বিষয় নেই।’
সার্বিয়া জোর দিয়ে বলার পরও ইইউ বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নয়। এই বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো গত সোমবার সার্বিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে সশস্ত্র সহিংসতা চালিয়ে রাশিয়া জাতিসংঘ সনদ অমান্য করেছে। এই অবস্থায় রাশিয়া কোনোভাবেই এ ধরনের চুক্তি করতে পারে না।’