পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে বলে এনজিওগুলো শত কোটি টাকা এনেছে: বেনজীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের সর্বোচ্চ পদ থেকে বিদায় নিলেন বেনজীর আহমেদ। এর মাধ্যমে অবসান হলো ৩৪ বছরের চাকরি জীবনের। আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শেষ সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের বিদায়ী আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

আগামীকাল শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরে নতুন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন তিনি। শেষ সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশ ও র‍্যাবের কর্মকাণ্ড, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন বেনজীর আহমেদ।

র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে মানবাধিকার ইস্যুতে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন বেনজীর আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যা বলার যুক্তরাষ্ট্রে বলেছি।’

নিষেধাজ্ঞার পরে পুলিশের মানবাধিকার উন্নয়নের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশকে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ দেবে বলে এ দেশের এনজিওগুলো শত কোটি টাকা নিয়ে এসেছে। এখন এ হিসাব বের করলে দেখা যাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা হবে। এনজিও তো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। তবে যখনই তারা ডেকেছে পুলিশ গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। পুলিশের মানবাধিকার প্রশিক্ষণ সব সময় দেওয়া হয়। এ ছাড়া সরকার থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে পুলিশের জবাবদিহি আছে।’

সম্প্রতি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের বিক্ষোভ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে আখ্যায়িত করেন বেনজীর আহমেদ। তাহলে কি এ বিষয়ে পুলিশের প্রশিক্ষণ কিংবা নির্দেশনায় কোনো ঘাটতি আছে? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী আইজিপি বলেন, ‘এগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমাদের প্রাথমিক এবং প্রধান লক্ষ্য থাকে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য। এর জন্য আমাদের হাতে অস্ত্র থাকে। এ ছাড়া এসব ঘটনার বিষয় নির্বাহী ও বিভাগীয় তদন্ত হয়। তবে জীবন রক্ষার জন্য দেওয়া অস্ত্র অন্যভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।’

শেয়ার করুন