এবার জ্বালানি তেলের দাম কমালো শ্রীলঙ্কার সরকার। অক্টোবর মাসেই দ্বিতীয় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমালো অর্থনৈতিক গোলযোগে পড়া দেশটি। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এ বছর ৯ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মাঝে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলো।
শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা জানান, সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিপিসি) প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৪০ রুপি কমিয়েছে এবং ডিজেলের দাম কমিয়েছে ১৫ রুপি। সোমবার থেকেই এক লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ রুপি করে। অক্টোবরের শুরুতে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ১০ শতাংশ কমানো হয়েছিল। আর ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৪১৫ রুপিতে। সোমবার রাত ৯ টা থেকে কার্যকর হয় এ সিদ্ধান্ত।
অন্যান্য পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের দাম একই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পড়েছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি দেশটির অর্থনীতি। অর্থনৈতিক সংকটের জেরে ফুঁসে উঠে দেশটির সাধারণ মানুষ। চরম আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এরপর দেশের হাল ধরেন কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
এখন সরকার বিরোধী আন্দোলন না হলেও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পর্যটন নির্ভর দেশটি দেউলিয়াত্বের খাতায় নাম লিখিয়েছে। যদিও সরকারের নীতি নির্ধারকরা এখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, পালিয়ে দেশত্যাগের দেড় মাসেরও বেশি সময় পর দেশে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাইয়ের পর থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করেন গোতাবায়া। তবে দেশে ফিরলেও তাকে আর সেভাবে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা যায়নি।
সূত্র: কলম্বো গেজেট