নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করে ঋণখেলাপিদের বিশেষ ছাড় দিয়ে গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা পরিপত্রের চারটি (৪, ৫, ৬, ৯) ধারা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শ্রী তুষার কান্তি রায়।
গত ২২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জারি করা পরিপত্রের ৪(২) (৩), ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ধারা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে।
এইচআরপিবির পক্ষে আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরীসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়।
ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিতে নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৮ জুলাই একটি পরিপত্র জারি করে। দেশের ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা এবং শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখিয়ে ঋণখেলাপিদের ওই ছাড় দেওয়া হয়।