বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। কমিশন বলেছে, এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতি করেছেন ইমরান। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং কোনো সরকারি দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন। খবর বিবিসি ও জিও নিউজের।
আজ শুক্রবার ইসিপি সর্বসম্মতভাবে এই আদেশ দেয়। ইসিপির আদেশে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান আর দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (পার্লামেন্ট) সদস্য নন।
তোশাখানা মামলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ইসলামাবাদের কমিশন সচিবালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে কমিশনের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মামলাটির শুনানি গ্রহণ করেন।
শুনানিতে ইমরান খানের আইনজীবী দাবি করেন, নিয়ম মেনে তোশাখানা থেকে উপহার কিনেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়। উপহার কেনার অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন কমিশনের সদস্যরা। জবাবে ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কমিশনকে দেবেন না।
তোশাখানা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণার আবেদনটি গত ২২ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ।
২৮ পৃষ্ঠার আবেদনে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে ৫২টি উপহার নিয়েছেন। তিনি আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে নামমাত্র মূল্যে এসব উপহার নিয়েছেন। অধিকাংশ উপহার তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।