যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস গতকাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস আর সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। তাদের মধ্যে কে এগিয়ে রয়েছেন- এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
লিজ ট্রাস নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ট্রাস সরকারি ব্যয় হ্রাস না করে ট্যাক্স হ্রাস ও প্রবিধান সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলীয় এমপিদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সুনাক সতর্ক করে দেন, অতিরিক্ত ঋণের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলোতে অর্থায়ন করায় তা কয়েক দশকের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বাজারের আস্থা খারাপ করতে পারে।
বক্তব্য সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাসের পদত্যাগের ঘোষণার পর সুনাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাছাইয়ে এগিয়ে রয়েছেন। গত মঙ্গলবারের একটি জরিপে দেখা গেছে, ট্রাসের বিকল্পদের মধ্যে সেরা রেটিং পেয়েছেন সুনাক। যদিও এখনও সামগ্রিক অনুকূল সমর্থনে তার অবস্থান রেটিং -১৮ তে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের।
বরিসকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন। ট্রাসের পদত্যাগের পর টাইমস জানায়, বরিস ভোটের মাধ্যমে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তিনি ব্রেক্সিটের জন্য এমপি ও দলের একটি অংশের কাছে জনপ্রিয়। আরেকটি জরিপ বলছে, ট্রাসের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় বরিস।
বেন ওয়ালেস প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে একটি টহলের নেতৃত্ব দেন, যা বোমা হামলা চালানোর চেষ্টাকারী আইআরএ ইউনিটকে আটক করে।
প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনার পর প্রিন্সেস ডায়ানার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার সময় ওয়ালেস অংশ নেন। এর আগে দলের নেতা নির্বাচনের সময় তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট পঞ্চম দফা ভোটে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েন।