খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় গণসমাবেশ হচ্ছে নগরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে। সকাল থেকে পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কোনো কোনো এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদেরকে।
বেলা ১২টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সংঘর্ষের সময় রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে রেলস্টেশন চত্বরে ভিড় করেছিলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং স্টেশনের বিভিন্ন জানালা-দরজার কাঁচ ভেঙে ফেলেন। প্রায় আধঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার দাবি করেন, নিজেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে জড়ান আগত ব্যক্তিরা। একপর্যায়ে তারা স্টেশনের গ্লাস ভাঙচুর করেন। পুলিশকে খবর দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।