রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন (আরজিএফ) বিদেশি অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সংস্থার সেই সংক্রান্ত নিবন্ধন (লাইসেন্স) বাতিল করে দিয়েছে। অভিযোগ, আরজিএফ দেশের ‘বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন’ (এফসিআরএ) লঙ্ঘন করেছে। আরজিএফ ছাড়াও রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের (আরজিসিটি) এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি ২০২০ সালে এই দুই অসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের তদন্ত চালায়। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই দুই অসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তদন্তের জন্য সেই সব তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্মৃতিতে ১৯৯১ সালে গঠিত আরজিএফ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণায় সাহায্য করে। নারী ও শিশু এবং বিশেষভাবে সক্ষম মানুষজনের স্বার্থে কাজ করে। সোনিয়া গান্ধী এই সংস্থার প্রধান। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। আরজিসিটির প্রধানও সোনিয়া। এই সংস্থা স্থাপিত ২০০২ সালে।
এই দুই সংস্থা পরিচালিত হয় সংসদ ভবন, কৃষি ভবন ও শাস্ত্রী ভবনের কাছে রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডে অবস্থিত ‘জওহর ভবন’ থেকে। কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত আজ বলেন, এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) কোনো ব্যাংক খাতা নেই। কোথা থেকে তারা টাকা পায়?