১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। এ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রোহিঙ্গাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামাল হোসেন, সোনা মিয়া, মো. কামাল, নুরুল আবছার ও সামসু মাস্টার। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অস্থায়ী কর্মচারী পাঁচ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হলেন ইয়াসিন আরাফাত, নূরনবী, মিজানুর রহমান, ফরহাদুল ইসলাম ও ইমন দাস।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ আলী হোসেন আজ বুধবার দুপুরে নগরের মনসুরাবাদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার নগরের হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে রোহিঙ্গারা এনআইডি করতে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ইসির অস্থায়ী কর্মচারী ডেটা এন্ট্রি অপারেটর।
মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেন, সামসু মাস্টার রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নেন। পরে তিনি দালাল নুরুল আবছারকে দেন। আবছার ঢাকায় একটি চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর ওই জন্মনিবন্ধন দিয়ে এনআইডি করেন। ইসির সার্ভারে এনআইডিটি দেখা যায়।
সামসু মাস্টার ও নুরুল আবছার এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কক্সবাজারে এনআইডি জালিয়াতি মামলায়। পরে জামিনে বেরিয়ে আবার জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। এ কাজে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করতে আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।