একমাত্র আওয়ামী লীগ শাসনামল ছাড়া ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশ ভূখণ্ডে রেলওয়ের কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর হয়। রেলমন্ত্রী সুজনের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
মমতাজ বেগম তার প্রশ্নে লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরও রেলে লোকসানের রেকর্ড দাবি করে তার কারণ জানতে চান।
জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার প্রয়োজনে ভারতীয় উপমহাদেশে রেলওয়ের গোড়াপত্তন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন তারা বুঝতে শুরু করেছে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদের পতন হতে চলছে তখন থেকেই বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয়। এরপর পাকিস্তান শাসনামলেও রেলওয়ের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ের পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরের সরকারগুলো রেলপথের উন্নয়নে কোনো ভূমিকা নেয়নি।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও একক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর রেল সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বিএনপির শাসনামলে রেলওয়ের অগ্রযাত্রা আবারও ব্যাহত হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, ১৯১৪ সাল থেকে শুরু করে ২০০৯ পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময়ে বঙ্গবন্ধুর সময়কাল ব্যতীত এবং শেখ হাসিনার আমল ছাড়া অন্য সরকারগুলোর সময় বাংলাদেশের রেলপথের উন্নয়নে ভূমিকা নেয়নি। শোষণ ও বঞ্চনা করে এই খাত ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর রেলপথের উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করা হয়। যার ফল রেলওয়ে পেতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পরিপূর্ণ ফলাফল পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে যে উন্নয়ন প্রকল্প চলমান তা শেষ হলে রেলওয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশে বাৎসরিক বস্ত্রের চাহিদা সাত হাজার মিলিয়ন মিটার। শতভাগ বস্ত্র দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। তবে রপ্তানি ও অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে বিদেশ হতে বস্ত্র আমদানি করা হয়।