বাংলাদেশকে ঋণসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল। ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ দেশের আর্থিক নীতিতে কিছু সংস্কারের অনুরোধ জানিয়েছে। তবে সুজন বলছে, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান ছাড়া আর্থিক সংকট যাবে না। নয়তো আইএমএফের ঋণ ফুটো কলসিতে পানি ঢালার মতোই হবে।
আজ মঙ্গলবার সুজনের ‘অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের পূর্বশর্ত রাজনৈতিক সংস্কার’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশে এখন তিনটি মূল সমস্যা—অর্থনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের সমস্যা। এই তিনটিই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটির সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলে, বিরোধীদল যারা আসছে, তারা একসঙ্গে নির্বাচন করেই আসছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কোনো বিরোধীদল নেই। ব্যাপকভাবে দলীয়করণের কারণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামো ভেঙে গিয়েছে। সমস্যাগুলো আরও প্রকট হয়েছে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারির কারণে।
তিনি বলেন, ফুটো কলসিতে পানি যতই ঢালা হোক, তাতে যেমন কলসি ভরবে না, তেমনি রাজনৈতিক তথা গণতন্ত্রের ঘাটতি পূরণ অর্থাৎ জনগণের ভোটাধিকার ফেরত প্রদান এবং দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের লাগাম টানা সম্ভব না হলে অর্থনৈতিক সংকট থেকেই যাবে। অর্থ ধার করেও লাভ হবে না।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর পাল্টাপাল্টি সমাবেশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সংঘাতের দিকে যাচ্ছি, যা কারও জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না।’ আলোচনায় সুজনের নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান এইচ মনসুর, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন প্রমুখ অংশ নেন।