টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আশা জাগিয়ে হতাশ করা ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের গল্পটা যেন এমনই। বেঙ্গালুরু থেকে অ্যাডিলেড, গল্পটা থেকে গেছে একই। যেখানে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল বেশ দুর্দান্ত। আজও বাংলাদেশ ৭ ওভারে বিনা উইকেটে করেছিল ৬৬ রান। কিন্তু বৃষ্টির পরই খেই হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
অ্যাডিলেডের শীতের মধ্যে গা গরম করা ব্যাটিং শুরু করেন লিটন দাস। তার ব্যাটিং ঝড়ে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। এরপরই নামে বৃষ্টি। আকাশের ওই কান্না না থামলে জয়ের হাসি হাসতো বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া মাঠে ভারতকে নাগালে পেয়েও বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির বাধায় বাংলাদেশের ইনিংস নেমে আসে ১৬ ওভারে। দলের সামনে শেষ ৯ ওভারে ৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। হাতে ছিল ১০ উইকেট। কিন্তু লিটনের রান আউটে মন ভাঙে ভক্তদের। এরপর নাজমুল শান্ত, আফিফ, সাকিবরা একে একে ফিরে যাওয়ায় হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
এ হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন একপ্রকার শেষ হলো। ভারত এগিয়ে গেল শেষ চারের পথে। অথচ বৃষ্টির কারণে মাঠ পুরোপুরি না শুকানোয় পা পিছলে আউট হয়েছেন লিটন। সাকিব-নুরুলের শট ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সীমানায় আটকে গেছে। যেখান থেকে একটা বেরিয়ে গেলে ফল ভিন্ন হতে পারতো। বৃষ্টি না নামলে এবং সেট লিটন ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারলে বদলে যেতে পারতো ম্যাচের রঙ। বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে আটকাতো না।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে ভারত ৬ উইকেটে তোলে ১৮৪ রান। বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৬৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে সাতটি চার ও একটি ছক্কা আসে। ওপেনার কেএল রাহুল খেলেন ৩২ বলে চারটি ছক্কা ও তিনটি চারের শটে ৫০ রানের ইনিংস। এছাড়া সূর্যকুমার ১৬ বলে চারটি চারে ৩০ রান করেন।
বাংলাদশের হয়ে আশা দেওয়া লিটন ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা তোলা এ ব্যাটার ২১ বলে পূর্ণ করেন নিজের ফিফটি। তার সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি দেওয়া শান্ত ফিরে যাওয়ার আগে ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রান করেন। সাকিব ১২ বলে ১৩ এবং নুরুলের ১৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় আসে ২৫ রান। তাসকিন ১২ রানের ইনিংস খেলেন।