সিডনিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দিনের একমাত্র ম্যাচে বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠার আশা বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান দল। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৫ রান তুলে পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১৪ ওভারে ১০৮ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। শূন্যরানে কুইন্টন ডি কক ও ৭ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাইলি রুশো। এছাড়া টেম্বা বাভুমার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান এবং ১৪ বলে ২০ রান তুলে আউট হয়েছেন এইডেন মারর্কাম। এক সময় ৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৯ রান তুলে প্রোটিয়ারা।
এরপর বৃষ্টি বাগড়ায় বন্ধ থাকে খেলা। বৃষ্টি থামলে ১৪ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ১৪২ রানের। ফলে ৩০ বলে দরকার পড়ে ৭৩ রান। যা দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের পক্ষে তোলা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় টেম্বা বাভুমাদের ইনিংস। ক্লাসেন ১৫, স্টুবস ১৮, পার্নেল ৩, রাবাদা ১ ও নরকিয়া ১ রানে আউট হন। আর ৪ রানে এনগিদি ও ১ রানে সামসি অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানি দলনেতা বাবর আজম। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। মাত্র ৪৩ রান তুলতেই মূল্যবান চারটি উইকেট হারায় দলটি। ৪ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান, ৬ রানে বাবর আজম, ২৮ রানে মোহাম্মদ হ্যারিস ও ২ রানে আউট হন শান মাসুদ।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নেওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে দলের চাপ সামলে নেন ইফতেখার আহমেদ। ২২ বলে ২৮ রান তুলে ফেরেন নেওয়াজ। এরপরে শাদাব খানকে সঙ্গে নিয়ে শেষ কয়েক ওভারে প্রোটিয়া বোলারদের রীতিমতো তুলোধূনো করতে থাকেন ইফতেখার। দুজন মিলে মাত্র ৩৫ বলে তোলেন ৮২ রান। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দল।
মাত্র ২২ বলে তিনটি চার ও চারটি ছয়ের মারে ৫২ রান করে আউট হন শাদাব খান। এদিকে আউট হওয়ার আগে ৫১ রান করেন ইফতেখার। মাত্র ৩৫ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি তিনটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো। এছাড়া নাসিম শাহ ৫ রান ও হ্যারিস রউফ ৩ রান করতে সক্ষম হন।