লেবানন অভিমুখী ইরানি জ্বালানি তেলের ট্যাংকারের বহরে বিমান হামলা হয়েছে। ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করার সময় বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোরে ওই হামলা হয়। বহরে ২৩টি ট্যাংকার ছিল। এতে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই বহরে বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আইআরআইবির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, একটি মার্কিন ড্রোন থেকে বহরের দুইটি ট্যাংকারের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। হামলার সময় ইরাকের আল-কায়েম ক্রসিং অতিক্রম করে আটটি ট্যাংকার সিরিয়ায় প্রবেশ করেছিল। তবে এটি মার্কিন নাকি ইসরায়েলি হামলা তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইরাক ও সিরিয়া হয়ে ট্যাংকারের বহরটির লেবাননে প্রবেশের কথা ছিল। ইরানি কর্মকর্তারা এখনও ওই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে ইরাকি সূত্রগুলো জানিয়েছিল, সিরিয়ার সঙ্গে দেশটির আল-কায়েম সীমান্তের কাছে অন্তত চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার সময় এই এলাকার আকাশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের শব্দ শোনা যায়। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে, ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অবস্থানে ড্রোন হামলার একই সময়ে জ্বালানি বহরে হামলা হয়েছে।
একজন ইরাকি মুখপাত্র বলেন, ইরানি তেল ট্যাংকারগুলো বাগদাদ ও দামেস্কের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী সম্পূর্ণ বৈধভাবে লেবাননে তেল নিয়ে যাচ্ছিল।
গত বছর থেকে ইরাক ও সিরিয়া হয়ে স্থলপথে লেবাননে তেল রপ্তানি শুরু করে ইরান। লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ দেশটির জ্বালানি সংকট নিরসনে ইরানের সাহায্য চাওয়ার পর থেকে বৈরুতের সাহায্যে এগিয়ে যায়।