রিমান্ডের আসামির ঝুলন্ত লাশ, উদ্বেগ ও ক্ষোভ এমএসএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদীর রায়পুরায় থানাহাজতের শৌচাগার থেকে আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংগঠনটি আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করেছে। ঘটনায় নির্যাতনমূলক আচরণের উপাদান থেকে থাকলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও জোর দাবি জানিয়েছে তারা।

রায়পুরা থানাহাজতের শৌচাগার থেকে সুজন মিয়া (৩৫) নামের এক আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই শৌচাগারের ভেন্টিলেটরের রডের সঙ্গে পরনের শার্ট গলায় প্যাঁচানো অবস্থায় ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকাল থেকে সুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার কথা ছিল।

এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, রিমান্ডে থাকা আসামির মৃত্যুর বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষ যে বক্তব্য দিয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। বলা হচ্ছে, সকালে থানার হাজতখানার ওয়াশরুম থেকে সুজন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুজন মিয়া কখন ও কী অবস্থায় ওয়াশরুম গিয়েছিলেন, তা অবশ্যই হাজতখানার সামনে পুলিশ সদস্যদের জানার কথা। গত সোমবার রাতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি দরবার শরিফ এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ

তা ছাড়া হাজতখানাতে অনেক আটক ব্যক্তি থাকেন। এমতাবস্থায় কেউ ফাঁসি দেবেন আর কেউ টের পাবেন না, সেটা একেবারেই অসম্ভব। সুজন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল করা হয়েছে ও মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ঠিকই, তবে যেহেতু ঘটনার তদন্ত পুলিশের দ্বারাই সম্পন্ন হবে তাই তদন্ত যেন সুষ্ঠু হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকতে হবে।

শেয়ার করুন