দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির অনুমোদন নেই। তা সত্ত্বেও ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। গত রোববার নর্থ সাউথ, উত্তরা, ইউরোপিয়ান, স্টামফোর্ড, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল, ইসলামী, ওয়ার্ল্ড, এশিয়া প্যাসিফিক ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটি ঘোষণা করেছেন সংগঠনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু হোরায়রা ও সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার। গত সেপ্টেম্বর মাসে যখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়, তখন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না রাখার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও উদ্যোক্তারা।
তখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি থাকা উচিত। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।
ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানদেরকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। এতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এগুলোর ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে কি না, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম দিয়ে নির্ধারিত।
সংগঠনের পক্ষে ওই চিঠি দেন এপিইউবির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন। তিনি আজ মঙ্গলবার বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি। ছাত্রলীগের কমিটির ক্ষেত্রে যে অবস্থান নিয়েছিলাম, ছাত্রদলের ক্ষেত্রেও অবস্থান একই। এ বিষয়ে নতুন করে আর চিঠি দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।