বুয়েট ছাত্র ফারদিনকে খুন হওয়ার আগে দিবাগত রাত সোয়া দুইটার (৩ নভেম্বর) দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে দেখা গিয়েছে। সাদা গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় এক যুবক তাকে একটি লেগুনায় তুলে দেন। ওই লেগুনায় আরও চারজন ছিলেন। লেগুনাটি তারাবোর দিকে যায়। ওই লেগুনার চালক ও সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় তার বাবার করা মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরা নামের এক বন্ধুকে রিমান্ডের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তাকে কোথায় হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু পাওয়া যায়নি।
এর আগে র্যাব সূত্র বলেছিল, ফারদিন রাত আড়াইটার দিকে চনপাড়া বস্তিতে ছিলেন। তাকে ওই বস্তির রায়হান গ্যাং হত্যা করে থাকতে পারে। তারা রায়হান ও তাঁর সহযোগীদের নজরদারিতে রেখেছে।
তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় উঠে যাত্রীদের তিনজন বিশ্বরোডে গিয়ে নামেন। একজন তার পরের স্টপেজে নামেন। ওই জায়গা থেকে চনপাড়া যেতে অন্তত এক ঘণ্টা লাগার কথা। ফলে রাত আড়াইটার দিকে তার যে চনপাড়ায় উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চনপাড়ায় ফারদিনের লাশ একটি প্রাইভেট কারে তুলে ফেলার যে কথা বলা হচ্ছে, তা–ও সঠিক নয়। কারণ, রাত সোয়া দুইটার দিকে ফারদিনের অবস্থান যাত্রাবাড়ীতে ছিল। আর ওই গাড়ির মুভমেন্ট ছিল রাত দেড়টার সময়।