ইউক্রেনে মার্শাল ল’র (সামরিক আইন) মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে জরুরি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি নাগাদ সামরিক কর্তৃপক্ষ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে। খবর বিবিসির। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন।
এ সময়ে বেসামরিক শাসন স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে যুদ্ধে পাঠানোর আইন বহাল থাকছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এ–সংক্রান্ত ডিক্রিগুলোর প্রতি অধিকাংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। প্রায় ৯ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। এ সময়ে ইউক্রেনে সামরিক আইন চলছে।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জেনারেল মার্ক মিলে বলেন, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে এক লাখের বেশি রুশ সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় বাহিনীর হতাহতের সংখ্যাও সম্ভবত একই সমান। মার্ক মিলে আরও বলেন, এ যুদ্ধ অবসানে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও পক্ষেই যুদ্ধে সামরিক বিজয় অর্জন সম্ভব না-ও হতে পারে।
তবে শান্তি আলোচনা না হওয়ার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দায়ী করেছে। কিয়েভ বলছে, দখল করা সব ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার না করলে শান্তি আলোচনা সম্ভব নয়।