সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তার বাগ্দত্তার করা মামলা থেকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে রেহাই দিতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, সৌদি নেতৃত্ব ও তার কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা আইনজীবী জামাল খাসোগিকে অপহরণ করে আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।
মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, সৌদি যুবরাজের আদেশেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তারা মনে করেন। কিন্তু আদালতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান যেহেতু এখন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী, তাই তিনি এ মামলা থেকে রেহাই পেতে পারেন। এ ঘটনার পর খাসোগির বাগ্দত্তা হেতিজে চেঙ্গিস টুইটারে লিখেছেন, এ দায়মুক্তির মধ্য দিয়ে ‘খাসোগির আবার মৃত্যু হলো’।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও এ দায়মুক্তির সমালোচনা করেছেন। ২০১৭ সালে প্রিন্স মোহাম্মদকে তার বাবা বাদশা সালমান যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে তিনি বরাবরই খাসোগি হত্যাকাণ্ডে তার কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করে আসছেন।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র লিখিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী নীতি অনুযায়ীই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।