বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা যে যুদ্ধে গিয়েছিলাম, সেই যুদ্ধের একটা ভিত্তি ছিল; সেই ভিত্তিটা হলো- গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও শোষণ মুক্তির সংগ্রাম। কিন্তু আমরা এখন সেই ভিত্তি থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছি।
১৯ নভেম্বর (শনিবার) সেগুন বাগিচাস্থ শিল্প কলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপির ৭০তম জন্মবার্ষিকী ও রাজনৈতিক সংগ্রামের ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি যেই জায়গা থেকে নির্বাচিত হই (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সেটি খুবই ক্রিটিকাল স্থান, এটি একসময় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর দেশ ছিল, এটা একসময় ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের এলাকা ছিল, কিন্তু এটা এখন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের এলাকা কিনা আমি চিনি না, আমার কাছে এটিকে খুব অপরিচিত মনে হয়। কারণ এখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়, রেলস্টেশন, মিউনিসিপালিটির ভবন পুড়িয়ে ফেলা হয়, এককথায় আধুনিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত যা যা আছে সবকিছুর বিরুদ্ধে কিছু মানুষ সবসময় তৎপর থাকে। সেখানে রাজনীতি করতে গিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ আমাদের ওপর দিয়ে খুব কঠিন সময় গিয়েছে। সেই কঠিন সময়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দীন নাসিম এবং ফজলে হোসেন বাদশা আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছিলেন।
‘শুধু তাই নয়, ফজলে হোসেন বাদশা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিপক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখতে আমাকে সাহস যুগিয়ে ছিলেন। এভাবে যদি আমাদের প্রতিটি মানুষ, যারা প্রগতিশীলতার কথা বলে, তারা যদি ক্রাইসিস মনুমেন্টে একে-অপরের পাশে দাঁড়ান, তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক, মানবিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কাজেই শুধু চৌদ্দ দল করার জন্য নয়, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলা করার মাধ্যমে একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্যও আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।