কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানকে ৬ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচে ৬-২ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে সময় রাত ৭টায় খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইরানের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড।
ম্যাচে প্রথমার্ধে ইরানের জালে তিন গোল দেয় ইংলিশরা। পরে দ্বিতীয়ার্ধে আরো ৩টি গোলে বিধ্বস্ত হয় ইরান।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা ইংল্যান্ডের প্রথম গোল পেতে সময় লেগেছে ৩৫ মিনিট। এ সময় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন জুডে বেলিংহাম। এর ঠিক আট মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন বুকায়ো সাকা। এ সময় দলনেতা হ্যারি কেনে নেওয়া কর্নার থেকে থেকে আসার বল হেডে করে প্রতিপক্ষের জালে পাঠান তিনি।
মনে হচ্ছিল দুই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যাবে দল। কিন্তু যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন রাহিম স্টার্লিং। হ্যারি কেনের দেয়া পাসে সহজের ইরানের গোলকিপারের চোখ ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান স্টার্লিং।
এদিকে খেলা শুরুর ৮ মিনিটের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইরানের গোলরক্ষক আলিরেহা বেইরানভান্ড। নিজ দলের ডিফেন্ডার মাজেদ হুসেইনির সঙ্গে মাথায় মাথায় ঠুকে যায় তার। ম্যাচের ১৮ মিনিটের সময় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামেন হোসেইনি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে র্স্টালিংয়ের পাস ধরে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে নেন সাকা। এর তিন মিনিট পর ইরান স্বস্তির গোল পায়। গোলটি করেন ইরানের সেরা তারকা মাহদি তারেমি। তবে এ স্বস্তি স্থায়ী হয়নি ম্যাচের ৭১ মিনিটে সাকার বদলি নেমে গোল করেন তরুণ ম্যানইউ ফরোয়ার্ড মার্কোস রাশফোর্ড।
দলের ৬ নম্বর গোলটি করেন জ্যাক গ্রেলিস। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠেন কেইনের বদলি নামা উইলসন। দৌঁড়ে বক্সের ঠিক মুখে চলে আসা গ্রেলিসের বল জালে জড়াতে বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাকে। তবে ম্যাচের শেষ বাঁশির ঠিক আগ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল শোধ করে ইরান। বল জালে জড়ান তারেমি।
আজকের ম্যাচে যে লাইনআপ ও স্কোয়াড নিয়ে মাঠে নেমেছে দুদল।
ইংল্যান্ড ফরমেশন (৪-২-৩-১):
জর্ডান পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), হ্যারি ম্যাগুইরে, জন স্টোনস, লুক শ, কাইরন ট্রিপিয়ার, ডেক্লান রাইস, জুড বেলিংহাম, হ্যারি কেইন, রাহিম স্টার্লিং, মেসন মাউন্ট, বুকায়ো সাকা।
ইরান ফরমেশন (৫-৩-২):
আলিরেজা বেইরানভান্দ (গোলরক্ষক), আলিরেজা বেইরানভান্ড, রুজবেহ চেশমী, মজিদ হোসেনি, মর্তেজা পৌরালিগঞ্জি, মিলাদ মোহাম্মদী, সাদেহ মোহররামি, আলী করিমি, এহসান হাজসাফী, আহমদ নূরুল্লাহি, মেহেদী তারেমি , আলীরেজা জাহানবখশ।