ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার অভিযোগে এসপিসহ (পুলিশ সুপার) আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ এ মামলার আবেদন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আরিফুল হক মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত আজ বিকেলের মধ্যে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।’
মামলার বাকি আসামিরা হলেন— বাঞ্ছারামপুর থানার কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, উপপরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন খান, এসআই বিকিরন চাকমা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা।
গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সমাবেশের লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের শটগানের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদলকর্মী নয়ন মিয়া।
ওই দিন নয়নের বন্ধু সোলাইমান ও চাচাত ভাই মো. সজিব গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে নয়ন বাঞ্ছারামপুরে লিফটের বিতরণ করছিলেন। সেসময় তার সঙ্গে প্রায় ২০০-২৫০ নেতা-কর্মী ছিলেন। বাঞ্ছারামপুর থানা সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি নতুন ব্রিজে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শটগান দিয়ে গুলি করে। এতে নয়নের পেটে গুরুতর আঘাত লাগে। এ ঘটনায় নয়ন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে নয়নকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে৷ পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এই মামলা করা হয়।