বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কমিশনের সব সময় ইচ্ছা সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাই সকল দলের প্রতি আহ্বান আপনারা সবাই নির্বাচনে আসুন। বিশেষ করে বিএনপি নির্বাচনে এলে আমরা খুশি হবো। আমরা চাই প্রতিটি দল নির্বাচনে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুক।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে রংপুর সিটি কপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে, কোনো অবনতি ঘটবে না, রংপুরে যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন তারা আশ্বস্ত করেছেন। তাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে। কমিশন মনে করে এই নির্বাচনে ভোটাররা কোনো বাধার সম্মুখীন হবে না। এছাড়া কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সিটি নির্বাচন সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকা এবং রংপুর থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, দায়িত্বরত পোলিং এজেন্টকেও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারা কোনো সমস্যা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রিসাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য। এ সময় তিনি নগরবাসীকে আবারও নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে এবং বিশ্বাস নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, আরপিএমপি কমিশনার নুরে আলম মিনা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহতাব উদ্দিন প্রমুখ।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সিটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ মোট ২৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এ সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হলেও এবার পুরো সিটির ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।