ইন্দোনেশিয়ায় যৌন নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন না পর্যটকেরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিয়ে না করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে পাস হওয়া ইন্দোনেশিয়ার ফৌজদারি আইন দেশটির পর্যটকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ে না করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট একটি ফৌজদারি আইন পাস করেছে।

সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে যৌন-সম্পর্কিত আইনটি পাস হয়। এ আইন শুধু ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের জন্য নয়, দেশটিতে ভ্রমণ করতে যাওয়া অবিবাহিত বিদেশি পর্যটকেরাও এর আওতায় পড়বেন বলে জানানো হয়েছিল। তবে এবার দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন আইনের আওতায় যৌন নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন না পর্যটকেরা।

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের পছন্দের স্থান। পর্যটনশিল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন এ ফৌজদারি আইনের কারণে বিদেশি পর্যটকদের ইন্দোনেশিয়ায় আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর কারণে দেশটির বৈশ্বিক জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পর্যটন রাজস্ব বিপুলভাবে কমে যাবে। তবে বালির গভর্নর ওয়াইয়ান কোস্তার বলেছেন, কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের বৈবাহিক অবস্থান পরীক্ষা করবে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় নতুন এ আইন এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আইনের বিধিবিধান তৈরি করতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে। তবে এর মধ্যেই নতুন এই আইন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হতে পারে। জাতিসংঘ বলছে, নতুন আইন দেশের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে। আর ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন আইন ‘ইন্দোনেশিয়ার মূল্যবোধ’ সমুন্নত রাখবে।

বিশ্বের অধিকাংশ পর্যটন হটস্পটের মতো বালি দ্বীপও করোনাকালে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। বালিতে প্রতি মাসে পাঁচ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন। কিন্তু করোনাকালের পুরো ২০২১ সালে বিদেশি পর্যটকদের এ সংখ্যা মাত্র ৪৫-এ নেমে এসেছিল।

করোনা নিয়ন্ত্রণের পর সরকার ও পর্যটনশিল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ খাতকে দারুণভাবে পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল, এ খাত থেকে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আনা সম্ভব হবে। কিন্তু নতুন আইন পাস হওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন।

শেয়ার করুন