গুজরাট দাঙ্গার সময় ধর্ষণের শিকার নারী বিলকিস বানু তার ধর্ষকদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। আদালতে ১১ ধর্ষক ও খুনির আগাম মুক্তির আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছিল। ভারতের শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সুপ্রিম কোর্ট ১৩ ডিসেম্বর বিলকিস বানুর আবেদন খারিজ করে এবং ১৬ ডিসেম্বর একটি চিঠির মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি আবেদনকারীর আইনজীবীকে জানানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে আদেশটি এখনো আপলোড করা হয়নি। ২০০২ সালে ভারতে গুজরাট দাঙ্গার সময় অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
বিলকিসের শিশুকন্যাসহ পরিবারের সাত সদস্যকে তার চোখের সামনে খুন করা হয়েছিল। ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১১ জনের সাজা হয়েছিল। গত ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গুজরাট সরকার ওই ১১ জনকে মুক্তি দেয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, অপরাধীরা ১৪ বছর কারাবাস করেছেন। জেলাখানায় থাকাকালে তদের আচরণও ভালো ছিল।
গুজরাট সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। মেয়াদ শেষের আগে কেন ১১ জন ধর্ষক ও খুনিকে ছাড়া হলো, সেই প্রশ্ন তোলা হয়। এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দুটি আবেদন জমা পড়ে। একটি আবেদন করেন সিপিআই (এম) নেত্রী সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাউল এবং শিক্ষাবিদ রূপ রেখা ভার্মা। অপর আবেদনটি করেন তৃণমূল কংগ্রেস এমপি মহুয়া মৈত্র।