দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর কারাদণ্ড বাড়িয়ে দেড় বছর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের একটি বিচার বিভাগীয় প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। পাকিস্তানি নিউজ চ্যানেল সামার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় প্যানেল জানান, কাস্টিলোকে প্রাথমিকভাবে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এখনো তদন্তাধীন। ফলে তিনি কারাগারে থাকবেন।
কাস্টিলো তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, তাকে রাজধানী লিমার কাছে একটি পুলিশ ভবনে আটকে রাখা হয়েছে।
বামপন্থী কাস্টিলো ২০২১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন। অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অবৈধভাবে সংসদ ভেঙে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা কাস্টিলোর জন্য ১৮ মাসের সাজা চেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই আবেদন করা হয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়।
প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারী ‘কাস্টিলোর জন্য স্বাধীনতা’ স্লোগান দিয়ে কারাগারের সামনে মিছিল করে। পেরুর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বালুয়ার্তে কাস্টিলোকে গ্রেপ্তারের পর দ্রুত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। বুধবার ৩০ দিনের জন্য দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারী দলের নেতারা জানিয়েছেন, তারা আবার নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করবে। পেরুতে কাস্টিলোর মুক্তি, বালুয়ার্তের পদত্যাগ, কংগ্রেস বন্ধ এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারী ‘কাস্টিলোর জন্য স্বাধীনতা’ স্লোগান দিয়ে কারাগারের সামনে মিছিল করে।
৭ ডিসেম্বর কাস্টিলোকে অভিশংসন করা হয়। এর পরই পেরুজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে অন্তত আটজন নিহত হওয়ার পর বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।