প্রায় এক যুগ পর বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন করা ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গতকাল শনিবার রাত থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছি। পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের কারিগরি কাজ করা হয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
২০১০ সালের আগস্ট মাসে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপবিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনটিপিসি) মধ্যে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়। এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এনটিপিসির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াটের কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। ২০২৩ সালের জুনে ওই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।