অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দূতাবাস খুলছে চিলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক। ছবি : ইন্টারনেট

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ আমেরিকান দেশ চিলি। চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক একথা ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে দূতাবাস খোলার বিষয়ে চিলির এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দূতাবাস খোলার বিষয়ে চিলির পরিকল্পনা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিয়া উরেজোলা বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, দূতাবাস খোলার বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট সময়রেখা নেই এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়কেই বৈধ রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে যাবে চিলি।

আল জাজিরা বলছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে শহরের বৃহৎ ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক।

ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি একটি ঝুঁকি নিচ্ছি। আমরা ফিলিস্তিনে চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স থেকে আমাদের সরকারি প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়াতে যাচ্ছি। এখন আমরা ফিলিস্তিনে একটি দূতাবাস খুলতে যাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী ফিলিস্তিনিরা চিলির এই পদক্ষেপের ব্যাপক প্রশংসা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারের সমর্থনে চিলি ও তার প্রেসিডেন্টের নীতিগত অবস্থান নিশ্চিত করছে।’

আল জাজিরা বলছে, চিলির ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। যাদের মধ্যে অনেকেই মূলত পশ্চিম তীরের বেথলেহেম এলাকার বিভিন্ন পরিবার থেকে এসেছেন এবং তাদের মধ্যে বেইট জালা এবং বেইট সাহোর গ্রামও রয়েছে।

এর আগে ১৯৯৮ সালে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে একটি প্রতিনিধি অফিস খোলে চিলি। এরপর ২০১১ সালে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং ইউনেস্কোতে ফিলিস্তিনের প্রবেশকে সমর্থন দেয়।

গত বুধবার প্রেসিডেন্ট বোরিক বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রস্তাবিত দূতাবাসও ফিলিস্তিনিদের তাদের প্রাপ্য প্রতিনিধিত্ব দেওয়ার জন্য। দূতাবাসটি ঠিক কোথায় অবস্থিত হবে তা উল্লেখ করেননি তিনি।

এদিকে চিলিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তারা চিলি সরকারের ঘোষণার বিষয়ে প্রকাশ্য বিবৃতি দেবেন না।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের ‘ছয়-দিনের যুদ্ধে’ ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। যদিও জেরুজালেমকে ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসাবে চায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন