ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় চাপে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু থেকেই চীনকে পাশে চেয়েছেন তিনি। আবারও চাইলেন। আজ শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছে পুতিনের। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মস্কোর সামরিক সম্পর্ক জোরদারের আশা প্রকাশ করেন তিনি। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান চীনের জন্য বেশ স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কারণ, মস্কোর দীর্ঘদিনের বন্ধু বেইজিং। বাণিজ্যিক কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখাটাও চীনের জন্য জরুরি। সব মিলিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে অনেকটা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে বেইজিং। তবে কূটনৈতিকভাবে রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তারা।
আজকের আলাপচারিতায় সি চিন পিংকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করাই আমাদের লক্ষ্য।’ এ সময় ‘পশ্চিমাদের চাপ ও উসকানি’ মোকাবিলায় মস্কো ও বেইজিংয়ের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, দিন দিন বিশ্বে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীন কৌশলগত অংশীদারত্বের গুরুত্ব বাড়ছে।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে রাজি সি চিন পিংও। পুতিনকে তিনি বলেন, বর্তমানের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে মস্কোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে প্রস্তুত বেইজিং। এ ছাড়া দুই দেশের অগ্রগতির জন্য একে অপরকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রেও তৈরি রয়েছেন তিনি।
এ সময় ২০২৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান পুতিন। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আপনি আগামী বসন্তে রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কো আসবেন। এই সফরের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা উঠে আসবে।
ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়া ১৬টি ‘কামিকাজে’ বা আত্মঘাতী ড্রোন পাঠিয়েছিল বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। দেশটিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওই ড্রোনগুলো পাঠানো হয়। শুক্রবার ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, ওই ড্রোনের সব কটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, রাজধানী শহরকে লক্ষ্য করে সাতটি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। তবে একটিও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি।: