জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এ নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৯ জানুয়ারি সম্পত্তি ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন তিনি।
গত বছরের ১ নভেম্বর এ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই দিন দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়। একইসঙ্গে আজ পরোয়ানা জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করে।
আজ দুজনের ঠিকানা সংশ্লিষ্ট পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, তারা দেশে না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এরপর আদালত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
২০০৮ সালে ডা. জোবায়দাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন- তারেক রহমান ও জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা।
গত ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এ পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবাইদার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। মারা যাওয়ায় তারেক রহমানের শাশুড়িকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।