ইন্টারনেটের গতিতে এগোলেও ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল ডাটা

বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাড়ছে। ফলে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের অবস্থানের উন্নতিও হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওকলার র‌্যাঙ্কিং বলছে, গত নভেম্বরে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতিতে বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১১৯তম। আগের মাসের তুলনায় অগ্রগতি সাত ধাপ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। ২০২১ সালে এ প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল যে বাংলাদেশ তালিকার শেষ দিকে রয়েছে। বাংলাদেশের পেছনে ছিল জিম্বাবুয়ে, ফিলিস্তিন, ভেনেজুয়েলা ও আফগানিস্তান।

ওকলার হিসাব বলছে, বাংলাদেশে গত নভেম্বরে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড গতি ছিল ১৩ দশমিক ৯৫ এমবিপিএস (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডে), যা এক বছর আগে একই মাসে ছিল ১০ দশমিক ৪২ এমবিপিএস। আপলোডের গতি ছিল ৮ এমবিপিএসের নিচে, যা বেড়ে গত নভেম্বরে ৯ এমবিপিএস ছাড়িয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩০তম। সেখান থেকে উন্নতি হয়েছে ১১ ধাপ।

উন্নতির কারণ হিসেবে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররা বলছে, সেবার মান বাড়াতে তারা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বড় পদক্ষেপটি হলো- তরঙ্গ কেনা। ২০২১ ও ২০২২ সালের মার্চে অপারেটরগুলো প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার তরঙ্গ কেনে। এ তরঙ্গের বড় অংশ নেটওয়ার্কে বসিয়েছে তারা। পাশাপাশি অপারেটরগুলো বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) বাড়িয়েছে, যা টাওয়ার নামে পরিচিত। টাওয়ারগুলো অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল (বিশেষ তার) দিয়ে সংযুক্ত করার হারও বাড়ানো হচ্ছে।

দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, দেশের মোবাইল অপারেটররা উৎকৃষ্ট মানের সেবাদানের জন্য সব সময়ই সচেষ্ট থাকে। আমরা সব সময় বলে এসেছি যে আমাদের তরঙ্গস্বল্পতা রয়েছে, যা ভালো ফলের অন্তরায়।

তিনি বলেন, গত বছরের শুরুতে অপারেটররা শতকোটি ডলারের বেশি ব্যয় করে সরকারের কাছে থেকে যে তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছে, তা তারা তাদের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করছে। সে কারণে সূচকে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে।

শেয়ার করুন