চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অঞ্জলী রানী দেবী খুনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। গত বছরের ২৯ নভেম্বরসহ ৮ বছরে প্রতিবেদন জমার তারিখ পড়েছে ১৩১টি। পুলিশের একেক বিভাগে দায়িত্ব পড়েছে। তবে কী কারণে, কারা অঞ্জলীকে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি।
থানা, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করেছে। এখন তদন্ত করছে অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। কিন্তু কেন, কী কারণে, কারা অঞ্জলীকে খুন করেছে, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। অঞ্জলীর স্বামী রাজেন্দ্রলাল চৌধুরী চিকিৎসক। তাদের দুই মেয়ে অর্পিতা চৌধুরী ও সঙ্গীতা চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে থাকা বড় মেয়ে অর্পিতা চৌধুরী বলেন, প্রকাশ্যে দিনদুপুরে একজন মানুষকে খুন করা হলো। আট বছরেও কোনো কিছু বের করতে পারেনি পুলিশ। মায়ের খুনিরা ধরা পড়বে, সেই আশায় আছি আমরা।
গত বছরের নভেম্বরে তদন্তের জন্য পিবিআই থেকে এটিইউতে আসে মামলাটি। তদারককারী কর্মকর্তা অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট ঢাকার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলী হোসেন খান বলেন, মামলাটি আসার পর বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরের চকবাজারের উর্দু গলিতে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন অঞ্জলী দেবী। এ ঘটনায় তার স্বামী চিকিৎসক রাজেন্দ্র লাল চৌধুরী বাদী হয়ে ওই দিন রাতে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।