ডায়ালাইসিস ফি কমানো ও ভর্তুকির সেশন কমিয়ে আনার দাবিতে কিডনি রোগীরা ও তাদের স্বজন আজ মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা; পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনেরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে পুলিশ রাস্তা থেকে রোগী ও স্বজনদের তুলে দেয়। এ সময় অনেককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
ডায়ালাইসিস ফি কমানোর দাবিতে চারদিন ধরে রোগী ও স্বজনেরা বিক্ষোভ করছেন। প্রথম দিকে হাসপাতালের নিচতলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যানডোরের সামনে তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। কোনো সুরাহা না হওয়ায় আজ রাস্তায় নামেন।
রোগীদের অভিযোগ, স্যানডোর এতোদিন দুটি মূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা দিত। এর মধ্যে ভর্তুকির যে সেবা দিত, তার মূল্য ছিল ৫১০ টাকা। তা বেড়ে এখন ৫৩৫ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তুকি ছাড়া ২ হাজার ৭৮৫ টাকায় যে ডায়ালাইসিস সেশন চালাত, তা করা হয়েছে ২ হাজার ৯৩৫ টাকা।
আবার এতোদিন যারা মাসে ৮টি সেশন ভর্তুকি মূল্যে ডায়ালাইসিস করাতে পারতেন, তাদের এখন থেকে অর্ধেক পুরো ফিতে করতে হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ কারণে রোগী ও স্বজনেরা শনিবার থেকে আগের ফি এবং ভর্তুকি সেশন আগের মতো বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান স্যানডোর এ সেন্টারে তাদের কার্যক্রম ১০ বছর চালিয়ে যাবে।
নুরুল আলম নামে এক রোগী বলেন, ‘কত কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে ডায়ালাইসিস করি। এখন এত টাকা কোথায় পাব? রাস্তায় নেমেছি তাই। কিন্তু এখানে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়।’
মারধরের অভিযোগ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনকে কয়েকবার ফোন করা হয়েছে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের কিডনি রোগীদের জন্য ২০১৭ সালের ৫ মার্চ ৩১টি মেশিন নিয়ে চমেক হাসপাতালের নিচতলায় কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারটি চালু করা হয়।