গুলশানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় ভবন থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিরুদ্ধে আজ বুধবার ঢাকার গুলশানে অভিযান চালিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দুপুরে গুলশান-২ নম্বরের একটি ভবনে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে গেলে ওই ভবন থেকে নিচে পড়েন দুই নারী। তাদের মধ্যে ফারজানা বেগম (১৯) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আনুমানিক ২২ বছর বয়সী আরেক নারী গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগে বেলা দুইটার দিকে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত গুলশান-২-এর ৪৭ নম্বর সড়ক-সংলগ্ন একটি ভবনে অভিযান চালান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে এপিবিএনের সদস্যরা ছিলেন। অভিযান পরিচালানার একপর্যায়ে ফারজানাসহ দুই নারী নিচে পড়ে যান।

universel cardiac hospital

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফারজানাসহ দুই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় চিকিৎসক ফারজানাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর নারী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের দুজনের হাত ও মাথায় রক্তাক্ত জখম রয়েছে।

দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, গুলশান-২ নম্বরের ৪৭ নম্বর সড়কে পড়ে ছিলেন ফারজানা বেগম। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আ. আহাদ বলেন, ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত গুলশানের আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা আজ ৪৭ নম্বর সড়কের ভবনটিতে গিয়েছিলেন।

ফারজানার স্বামী জাহিদ হাসান সপরিবারে খিলক্ষেতের বটতলায় থাকেন। পেশায় মুদিদোকানি জাহিদ হাসান পুলিশের কাছে খবর পেয়ে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। এ সময় তিনি সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তার স্ত্রী একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন বলে তিনি জানতেন। বেলা ১১টার দিকে বড় বোন আফসানার সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। দুপুরে পুলিশের কাছ থেকে দুর্ঘটনার খবর পান। ফারজানার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটায়।

শেয়ার করুন